অণুজীবজগতের শ্রেণিবিভাগ

সপ্তম শ্রেণি (দাখিল) - বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ - অণু জীবজগৎ | | NCTB BOOK
13

অণুজীবজগতের শ্রেণিবিভাগ করার সময়ে এগুলোর আকার এবং এগুলোর নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্রিকাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এসব বিবেচনায় অণুজীবজগৎকে মূলত তিনটি রাজ্যে ভাগ করা হয়। ভাগগুলো হচ্ছে,

রাজ্য-১: এক্যারিওটা বা অকোষীয়। এসব অণুজীব এতটাই ছোট যে, সাধারণ আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচেও এগুলোকে দেখা যায় না। এগুলো দেখতে বিশেষ অণুবীক্ষণ যন্ত্র যা দিয়ে অতীব ক্ষুদ্র জিনিস দেখা যায় (Electron microscope) তার প্রয়োজন হয়। উদাহরণ: ভাইরাস।

ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপে দেখা SARS- CoV-2 ভাইরাস, যা করোনাভাইরাস নামেই বহুল পরিচিত

রাজ্য-২: প্রোক্যারিওটা বা আদিকোষী। যেসব অণুজীবের কোষের নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্ৰিকা সুগঠিত নয়, সেগুলোই এ রাজ্যের সদস্য। সুগঠিত কেন্দ্রিকা না থাকায় এগুলোর কোষকে আদিকোষ বলা হয়। উদাহরণ: ব্যাকটেরিয়া।

ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপে দেখা E. coli নামক ব্যাকটেরিয়া

রাজ্য-৩: ইউক্যারিওটা বা প্রকৃতকোষী। যেসব অণুজীব কোষের নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্ৰিকা সুগঠিত, সেগুলোকে প্ৰকৃত কোষ বলে। উদাহরণ: শৈবাল, ছত্রাক ও প্রোটোজোয়া এ ধরনের অণুজীব।

মাইক্রোস্কোপে দেখা ইস্ট, বেকিংসহ নানা কাজে ব্যবহৃত হয় এই অণুজীব
Content added By
Promotion